দরকারি

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না জেনে নিন

5/5 - (2 votes)

বর্তমানে ই-পাসপোর্ট যেন এক অত্যাবশ্যকীয় জিনিস। দেশের বাইরে ভ্রমণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে এটি লাগে। ই-পাসপোর্ট করার সময় আমরা অনেকেই দ্বিধায় ভুগি যে কত বছর মেয়াদের পাসপোর্ট করব। বিশেষ করে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট নিয়ে আমাদের আগ্রহের শেষ নেই। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না, সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন, দেরি না করে শুরু করা যাক!

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট: কারা আবেদন করতে পারবেন?

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট পাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা রয়েছে। আপনি যদি সেই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন, তাহলেই কেবল এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আসুন, সেই বিষয়গুলো জেনে নিই:

বয়সসীমা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বয়স। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সের যে কেউ ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে, ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট প্রযোজ্য।

আবেদনের যোগ্যতা

  • ১৮ বছর বা তার বেশি: আপনি যদি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী হন, তাহলে আপনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • আবেদনকারীর নাগরিকত্ব: আবেদনকারীকে অবশ্যই জন্মসূত্রে অথবা আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
  • আগেকার পাসপোর্টের মেয়াদ: আপনার আগের পাসপোর্টের মেয়াদ যদি শেষ হয়ে গিয়ে থাকে অথবা শেষের দিকে থাকে, তাহলেও আপনি এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

অন্যান্য বিষয়াবলী

  • আবেদনকারীর বিরুদ্ধে কোনো প্রকার গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা চলবে না। যদি থাকে, তাহলে আপনি এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
  • আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। কোনো ভুল তথ্য দেওয়া হলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
  • আবেদনকারীকে অবশ্যই পাসপোর্ট অফিসের নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট: কারা আবেদন করতে পারবেন না?

কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, কিছু ব্যক্তি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। সেই কারণগুলো আলোচনা করা হলো:

বয়সসীমা

১৮ বছরের কম বয়সী নাগরিকরা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য যোগ্য নয়। তাদের জন্য ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট উপলব্ধ।

আইনি জটিলতা

  • গ্রেফতারি পরোয়ানা: যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কর্তৃক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়ে থাকে, তাহলে তিনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
  • মামলা চলমান: যদি কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে দেশের কোনো আদালতে মামলা চলমান থাকে, তাহলে সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

ভুল তথ্য প্রদান

  • আবেদনের সময় যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য প্রদান করেন, তাহলে তার আবেদন বাতিল করা হতে পারে।
  • যদি কোনো ব্যক্তি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদে (Birth Certificate) ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

অন্যান্য কারণ

  • যদি কোনো ব্যক্তি পূর্বে পাসপোর্ট করার সময় কোনো প্রকার জালিয়াতি করে থাকেন, তাহলে তিনি ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
  • কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় যদি কোনো ব্যক্তি দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ হন, তাহলে তিনি এই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের সুবিধা কী কী?

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার কিছু বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এই সুবিধাগুলো আপনার ভ্রমণ এবং অন্যান্য কাজে অনেক বেশি সুবিধা এনে দেয়। চলুন, সেই সুবিধাগুলো জেনে নেয়া যাক:

  • দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা: এই পাসপোর্ট একবার করলে দীর্ঘ ১০ বছর পর্যন্ত নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বারবার পাসপোর্ট করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • সময় এবং খরচ সাশ্রয়: যেহেতু ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্ট একবার করলেই হয়, তাই এটি সময় এবং খরচ উভয়ই সাশ্রয় করে। প্রতি ৫ বছর পর পর পাসপোর্ট করার খরচ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ভিসা প্রক্রিয়াকরণে সুবিধা: কিছু দেশ ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টধারীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। এতে করে ভিসার জন্য আবেদন করা সহজ হয়।
  • ঝামেলাবিহীন ভ্রমণ: দীর্ঘ মেয়াদের কারণে ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। বিশেষ করে যারা ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য এটি খুবই উপযোগী।
  • মানসিক শান্তি: পাসপোর্টের মেয়াদ নিয়ে চিন্তা না করে আপনি আপনার ভ্রমণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন।

ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের সময় কিছু জরুরি কাগজপত্র লাগে। আপনার সুবিধার জন্য একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) অথবা অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ (BRC) এর মূল কপি এবং একটি ফটোকপি লাগবে।
  • পাসপোর্ট সাইজের ছবি: ৬ মাসের মধ্যে তোলা ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হতে হবে)।
  • আবেদনপত্র: অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি।
  • ফি পরিশোধের প্রমাণ: পাসপোর্ট ফি পরিশোধের র E-Payment স্লিপ অথবা রসিদ।
  • পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে): পুরনো পাসপোর্ট থাকলে, সেটি অবশ্যই জমা দিতে হবে।

অন্যান্য কাগজপত্র

  • সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য NOC (No Objection Certificate) বা অনাপত্তি পত্র লাগবে।
  • শিক্ষার্থীদের জন্য: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড বা বেতনের রসিদ প্রয়োজন হতে পারে।
  • বিশেষ ক্ষেত্রে: প্রযোজ্য ক্ষেত্রে যেমন বিবাহিত হলে ম্যারিজ সার্টিফিকেট, অথবা অন্য কোনো বিশেষ কাগজপত্রের প্রয়োজন হতে পারে।

ই-পাসপোর্টের আবেদন প্রক্রিয়া

ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা এখন আগের চেয়ে অনেক সহজ। আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। নিচে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া দেওয়া হলো:

  1. অনলাইন আবেদন: প্রথমে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.passport.gov.bd) যান। সেখানে ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইন আবেদনপত্র পূরণ করুন।
  2. তথ্য প্রদান: আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন। মনে রাখবেন, কোনো ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
  3. ছবি এবং কাগজপত্র আপলোড: আপনার পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন।
  4. ফি পরিশোধ: অনলাইনে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ই-পাসপোর্টের ফি পরিশোধ করুন। আপনি চাইলে ব্যাংক ড্রাফট বা চালানও ব্যবহার করতে পারেন।
  5. আবেদনপত্র জমা: পূরণ করা আবেদনপত্রটি ভালোভাবে দেখে নিন এবং সাবমিট করুন। এরপর আবেদনপত্রের একটি প্রিন্ট কপি নিন।
  6. পাসপোর্ট অফিসে সাক্ষাৎ: আপনার প্রিন্ট করা আবেদনপত্র, ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের স্ক্যান) নেওয়া হবে।
  7. পাসপোর্ট সংগ্রহ: সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর, আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। সেই তারিখে পাসপোর্ট অফিস থেকে আপনার ই-পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে?

ই-পাসপোর্টের ফি নির্ভর করে আপনি কত পৃষ্ঠার পাসপোর্ট চাচ্ছেন এবং কত দিনের মধ্যে পেতে চান তার উপর। নিচে একটি তালিকা দেওয়া হলো, যা আপনাকে খরচ সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে:

পাসপোর্টের ধরণ পৃষ্ঠা সংখ্যা ডেলিভারি সময় ফি (প্রায়)
৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠা সাধারণ ৪,০২৫ টাকা
৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠা সাধারণ ৬,৩২৫ টাকা
১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠা সাধারণ ৫,৭৫০ টাকা
১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠা সাধারণ ৮,০৫০ টাকা
৫ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠা এক্সপ্রেস ৬,৩২৫ টাকা
৫ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠা এক্সপ্রেস ৮,৬২৫ টাকা
১০ বছর মেয়াদি ৪৮ পৃষ্ঠা এক্সপ্রেস ৮,০৫০ টাকা
১০ বছর মেয়াদি ৬৪ পৃষ্ঠা এক্সপ্রেস ১০,৩৫০ টাকা

এখানে উল্লেখ করা ফি পরিবর্তনশীল, তাই পাসপোর্ট করার আগে ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেওয়া ভালো।

ই-পাসপোর্ট সম্পর্কিত কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)

ই-পাসপোর্ট নিয়ে আমাদের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। নিচে কিছু সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলো, যা আপনাদের কাজে লাগবে:

ই-পাসপোর্ট কি খুব দ্রুত পাওয়া যায়?

সাধারণত, ই-পাসপোর্ট পেতে একটু সময় লাগে। তবে, এক্সপ্রেস ডেলিভারির মাধ্যমে দ্রুত পাসপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।

আমি কি আমার ই-পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারব?

হ্যাঁ, আপনি আপনার ই-পাসপোর্টের ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে পাসপোর্ট অফিসে আবেদন করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

আমার ই-পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে কী করব?

যদি আপনার ই-পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তাহলে দ্রুত নিকটস্থ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করুন। এরপর জিডির কপি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন।

ই-পাসপোর্ট করতে কী কী লাগে?

ই-পাসপোর্ট করতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি), পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং পূরণ করা আবেদনপত্র লাগবে। এছাড়াও, ফি পরিশোধের রসিদও জমা দিতে হবে।

ই-পাসপোর্ট কিভাবে করে?

ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়, এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ছবি আপলোড করতে হয়। তারপর ফি পরিশোধ করে পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হয়।

e passport করতে কত দিন লাগে?

e পাসপোর্ট করতে সাধারণত ১৫ থেকে ২০ দিন লাগে। তবে, জরুরিভাবে করতে চাইলে এক্সপ্রেস ডেলিভারির মাধ্যমে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে।

পাসপোর্ট করতে কি কি ডকুমেন্ট লাগে?

পাসপোর্ট করতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ, ছবি, পূরণ করা আবেদনপত্র এবং ফি পরিশোধের রসিদ লাগে। এছাড়াও, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অন্যান্য কাগজপত্র লাগতে পারে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে 2024?

২০২৪ সালে পাসপোর্টের খরচ নির্ভর করে মেয়াদের উপর। ৫ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য ৪,০২৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের জন্য ৫,৭৫০ টাকা লাগে। এক্সপ্রেস ডেলিভারির জন্য খরচ আরও বেশি হতে পারে।

e পাসপোর্ট এর জন্য ছবি তোলার নিয়ম কি?

ই-পাসপোর্টের জন্য ছবি তোলার সময় সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করতে হবে। ছবিতে আপনার মুখ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হতে হবে এবং সরাসরি ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে ছবি তুলতে হবে।

শেষ কথা

ই-পাসপোর্ট এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট কারা পাবেন এবং কারা পাবেন না, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের কাজে লাগবে এবং আপনারা সহজেই ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনাদের আরো কিছু জানার থাকে, তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ!

Related Articles

Back to top button