বিকাশ দিয়ে মোবাইল রিচার্জ করলে অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয়!
দেশের জনপ্রিয় মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জে নতুন ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক নির্ধারিত দামের চেয়ে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রি করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এক ফেসবুক পোস্টে জানান, বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে অনুমোদিত মূল্যের তুলনায় ২০% থেকে ৮০% বেশি দামে মোবাইল প্যাক বিক্রি হয়েছে।

‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং : এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসংগতি পাওয়া গেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০% থেকে ৮০% বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল, গ্রাহকদের সাথে কোনও যুক্তি বা স্পষ্ট যোগাযোগ ছাড়াই।
মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০% বৃদ্ধি।
১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭-দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যার পরিমাণ ৮০% কার্যকর ওভারচার্জ।
২২৭ টাকা মূল্যের একটি ৭-দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০% বৃদ্ধি।
৭-দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলিও ৫৫% থেকে ৫৮% অতিরিক্ত চার্জ সহ স্ফীত মূল্য।

ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব বলেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তাকে তোয়াক্কা না করে ২০% থেকে ৮০% পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহক স্বার্থ এবং রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থ বিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। এই অতিরিক্ত চার্জিং অনুশীলন কেবল জনসাধারণের আস্থাকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না বরং বাংলাদেশে মোবাইল ডেটা খরচ সম্পর্কে নাগরিকদের ধারণাকেও বিকৃত করে।
বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।