ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪ : ৭৪টি প্রচারণার স্বীকৃতি
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ফ্ল্যাগশিপ আয়োজন “৮ম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড ২০২৪” অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭৪টি ডিজিটাল ক্যাম্পেইনকে ২৪টি ক্যাটেগরিতে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত এই গালা অনুষ্ঠানে প্রায় ৫০০ জন ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের স্বীকৃতি প্রদানকারী একমাত্র পুরস্কার “ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড”, যা ২০১৭ সাল থেকে আয়োজন করা হচ্ছে। এবছর নভেম্বর ১, ২০২৩ থেকে অক্টোবর ৩১, ২০২৪ এর মধ্যে পরিচালিত ক্যাম্পেইনগুলো মনোনয়নের জন্য বিবেচিত হয়।
১০৫৭টি মনোনয়ন থেকে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচন
এই বছর ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের জন্য ১০৫৭টি মনোনয়ন জমা পড়ে। শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত জুরি বোর্ড দুই ধাপে বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
- প্রাথমিক পর্যায়: ১০টি জুরি সেশনে ১০৩ জন বিশেষজ্ঞ শর্টলিস্ট তৈরি করেন।
- গ্র্যান্ড জুরি: ৭টি সেশনে ৯০ জন বিশেষজ্ঞ চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করেন।
পুরস্কার বিজয়ীদের তালিকা
২৪টি ক্যাটেগরিতে মোট ৭৪টি ক্যাম্পেইন পুরস্কৃত হয়। বিভিন্ন র্যাংকে বিজয়ীদের সংখ্যা নিচে উল্লেখ করা হলো:
- ব্রোঞ্জ: ৪৭টি
- সিলভার: ২৪টি
- গোল্ড: ৩টি
- গ্রাঁ পি: (এ বছর কোনো বিজয়ী নেই)
ডিজিটাল বিপ্লব ও মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের গ্রুপ সিইও এবং এক্সিকিউটিভ এডিটর সাজিদ মাহবুব তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা একটি ডিজিটাল বিপ্লবের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখন মার্কেটিং শুধু গল্প বলার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ততা, হাইপার-পার্সোনালাইজেশন ও ডাটা-নির্ভর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।”
তিনি আরও বলেন, এআই, অটোমেশন এবং অ্যানালিটিক্স ব্র্যান্ড ও গ্রাহকদের মধ্যে সম্পর্কের ধরন বদলে দিচ্ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড শুধুমাত্র উৎকর্ষতার স্বীকৃতি নয়, এটি আমাদের শিল্পের ক্রমবিকাশের প্রতিফলন।
ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ডের পূর্বে, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে ১১তম ডিজিটাল সামিট অনুষ্ঠিত হয়। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল “ডিজিটাল রেনেসাঁ: ইনোভেটিং ফর টুমরো’স কনজিউমার”, যেখানে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ ও নতুন উদ্ভাবন নিয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, “ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এখন আর বিকল্প নয়, বরং এটি অপরিহার্য। আমাদের নতুন উদ্ভাবনী ধারণা গ্রহণ করতে হবে এবং গ্রাহকদের চাহিদা আরও ভালোভাবে বুঝতে হবে।”
৮ম ডিজিটাল মার্কেটিং অ্যাওয়ার্ড এবং ১১তম ডিজিটাল সামিট ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্ডাস্ট্রির অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এআই, ডাটা অ্যানালিটিক্স ও পার্সোনালাইজড মার্কেটিং এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।