স্বাস্থ্যসেবা খাতে ডিজিটাল সমাধান উন্নত করার লক্ষ্যে সম্প্রতি ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলালিংক।
চুক্তি স্বাক্ষর উপলক্ষে ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি সেন্টারে এক আনুষ্ঠানিক আয়োজন করা হয়। চুক্তিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ তানজীন এবং ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাকিফ শামীম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ করপোরেট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের হেড অব কি সেগমেন্ট সাদ মোহাম্মাদ ফয়জুল করিম এবং করপোরেট অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার শাহিনাজ হোসেন।
এই চুক্তির আওতায়, ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের কর্মীদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ভয়েস ও ডেটা কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে কর্পোরেট সংযোগ সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সমাধান প্রদান করবে বাংলালিংক। এছাড়াও, উন্নত ডিজিটাল সেবা যেমন লোকেশন-ভিত্তিক মোবাইল বিজ্ঞাপন ও এসএমএস ব্রডকাস্টিং সেবা প্রদান করা হবে, যা হাসপাতালটিকে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছে সঠিক বার্তা পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
বাংলালিংকের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস ডিরেক্টর রুবাইয়াত এ তানজীন বলেন, “একটি উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর হিসেবে, বাংলালিংক বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচন এবং প্রবৃদ্ধির সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায়, আমরা ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের সাথে অংশীদারিত্ব করেছি। এই অংশীদারিত্বের ফলে ডিজিটাল সমাধানের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতারা আরও বেশি উপকৃত হবেন। আমাদের বিশ্বাস, এ সহযোগিতা উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি সেন্টারের এইচআর অ্যান্ড অ্যাডমিন বিভাগের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার এ. এম. এম. মহসিন বলেন, “এ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা উদ্ভাবন, অংশীদারিত্ব ও উন্নয়নের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক স্পর্শ করেছি। ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতাল ও বাংলালিংকের এই চুক্তি স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। বাংলালিংকের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক অবকাঠামো এবং ডিজিটাল সক্ষমতার মাধ্যমে আমরা বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিৎসা, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং সহমর্মিতামূলক সেবা নিশ্চিত করতে পারব বলে আশাবাদী।”
