বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন ও স্মার্ট ডিভাইসে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ই-সিম প্রযুক্তি। গবেষণা বলছে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিশ্বের ৭৫ শতাংশ স্মার্টফোনে ই-সিম ব্যবহৃত হবে।
প্রযুক্তি বিশ্লেষণ সংস্থা ক্যালেইডো ইন্টেলিজেন্স জানায়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিভিন্ন স্মার্ট ডিভাইসে ই-সিম সংযোগের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৫০ কোটিতে। অথচ এখন এই সংখ্যা মাত্র ৫০ কোটি।
ই-সিম কী? প্রযুক্তির সুবিধা ও ভবিষ্যৎ
ই-সিম বা ইলেকট্রনিক সিম হলো একটি ডিজিটাল সিম কার্ড যা ফোন বা ডিভাইসের ভেতরেই সংযুক্ত থাকে। এর জন্য আলাদা ফিজিক্যাল সিম কার্ডের প্রয়োজন পড়ে না। নম্বর পরিবর্তন বা অপারেটর বদলানো যায় এক ক্লিকেই। স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট এমনকি ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) ডিভাইসেও ব্যবহারযোগ্য এই প্রযুক্তি।
২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫০ কোটিতে পৌঁছাবে ই-সিম কানেকশন
গবেষণায় বলা হয়েছে, প্রতি বছর ই-সিম ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি ঘটছে। ২০২৪ সাল থেকেই আইওটি ডিভাইসের জন্য বিশেষ ই-সিম বাজারে আসছে। বিশ্লেষকরা একে ই-সিমের জন্য “নতুন যুগের সূচনা” হিসেবে দেখছেন।
চীনের নীতিগত পরিবর্তনে ই-সিম প্রযুক্তির প্রসার
ই-সিম প্রযুক্তির ব্যাপক বিস্তারে ভূমিকা রাখছে চীনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত। দেশটির সরকার ই-সিম ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে, ফলে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে চীনে প্রথমবারের মতো ই-সিম চালিত স্মার্টফোন বাজারে আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে এই প্রযুক্তির বিস্তার হলে তা বিশ্বজুড়ে গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে।
ফাইভজি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাড়াচ্ছে ই-সিমের চাহিদা
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইভজি নেটওয়ার্কের প্রসার ও ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রযুক্তির প্রতি আগ্রহ ই-সিম ব্যবহারে গতি এনেছে। ফাইভজি দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও স্থিতিশীল সংযোগ নিশ্চিত করে, যা ই-সিমের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
