ডিজিটাল সামিট ২০২৫ : পরিবর্তনের পথে বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত হলো ১১তম ডিজিটাল সামিট ২০২৫। এ বছরের সামিটের প্রতিপাদ্য ছিল “ডিজিটাল রেনেসাঁ: ইনোভেটিং ফর টুমরো’স কনজিউমার”, যেখানে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভূমিকা এবং ডেটা-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
এই বৃহৎ আয়োজনের পরিবেশনায় ছিল মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। সম্মেলনে ২টি কী-নোট সেশন, ৪টি প্যানেল আলোচনা এবং ২টি ইনসাইট সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল মার্কেটিং বিশেষজ্ঞ ও কর্পোরেট লিডাররা।

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের গ্রুপ সিইও সাজিদ মাহবুব উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, “ডিজিটাল পরিবর্তন এখন আর বিকল্প নয়, বরং অত্যাবশ্যকীয় বাস্তবতা। আমাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে, উদ্ভাবনী হতে হবে এবং গ্রাহকদের চাহিদা বোঝার সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটা অ্যানালিটিক্স : ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ভবিষ্যৎ
প্রথম কী-নোট সেশনে ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান জাভেদ আখতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ডেটা-ভিত্তিক কৌশলের পরিবর্তনশীল ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “ডিজিটাল মার্কেটিং এখন আর শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এআই, মেশিন লার্নিং এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ব্যবহার করে ভোক্তাদের চাহিদা আগেভাগে বোঝা এবং কার্যকর বিপণন কৌশল নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে।”
সামিটের প্যানেল আলোচনায় বিকাশ, গ্রামীণফোন, ভিএমএল বাংলাদেশ, অ্যাডকম, মিডিয়াম বাংলাদেশ, ব্র্যান্ডগিয়ার, ডেলহিভারি লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন। আলোচনায় উঠে আসে হাইপার পার্সোনালাইজেশন, অভিজ্ঞতানির্ভর অর্থনীতি, ডেটা-চালিত ক্রিয়েটিভিটি এবং এআই-ভিত্তিক ডিজিটাল মার্কেটিং–এর মতো বিষয়গুলো।
বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর : ব্যবসা ও ব্র্যান্ডিংয়ের নতুন সুযোগ
বর্তমান ডিজিটাল ট্রেন্ড ও ভবিষ্যতের প্রস্তুতি নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন,
✔️ এআই ও অটোমেশনের ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং আরও কাস্টমাইজড ও কার্যকর হবে।
✔️ ভবিষ্যতের বিপণন কৌশল হবে ডেটা-চালিত এবং ব্যক্তিগতকরণভিত্তিক।
✔️ উন্নত অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে গ্রাহকদের চাহিদা নির্ধারণ সহজ হবে।
বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটিং দ্রুত পরিবর্তনশীল। ১১তম ডিজিটাল সামিট ২০২৫–এ অংশগ্রহণকারীরা একমত হয়েছেন যে, ভবিষ্যতের বিপণন কৌশলে উদ্ভাবন, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ডেটা-ভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণই হবে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।