তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তায় ‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইনের সাফল্য
বাংলাদেশের তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তা ও দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণ সম্পর্কে সচেতন করতে জাগো ফাউন্ডেশন ও টিকটকের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইন এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে। এ পর্যন্ত ক্যাম্পেইনটি এক লক্ষেরও বেশি তরুণ-তরুণীকে অনলাইন নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে সক্ষম হয়েছে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া ‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইন এর মূল লক্ষ্য ছিল তরুণদের ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের অনলাইন হুমকি থেকে রক্ষা করা। সময়ের সঙ্গে ক্যাম্পেইনটি নতুন মাত্রা অর্জন করে, এবং ২০২৪ সালের শেষের দিকে ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর ট্রেনিং ক্যাম্প’ চালু করা হয়।

🔹 ৬৪ জেলা থেকে ১২৮ জন ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
🔹 অনলাইন নিরাপত্তা, টিকটক সেফটি টুলস, এবং অ্যাম্বাসেডরদের ভূমিকা সম্পর্কে ট্রেনিং দেওয়া হয়।
🔹 তারা নিজ নিজ কমিউনিটিতে সচেতনতা বাড়ানোর দায়িত্ব নেন।
প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের পর দেশের ৬৪টি জেলায় ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডররা সচেতনতা সেশন পরিচালনা করেন।
প্রতিটি সেশনে গড়ে ৩০ জন তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করে। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল অনলাইন হুমকি ও সাইবার নিরাপত্তা, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের নিরাপদ ব্যবহার, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কৌশল।
এছাড়াও ২৫৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডর ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে ১,০০,০০০ শিক্ষার্থী অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে পারে।
৮টি বিভাগে ‘ডিভিশনাল ফিডব্যাক সেশন’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডররা তাদের অভিজ্ঞতা, সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। এই সেশনগুলো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা তৈরি করতে সহায়তা করে।
ক্যাম্পেইনের চূড়ান্ত ধাপে ‘ন্যাশনাল অনলাইন সেফটি ডায়ালগ’ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি প্রতিনিধি, গবেষক, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, আইটি বিশেষজ্ঞ এবং ইয়ুথ অ্যাম্বাসেডররা। তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইনের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, “এই ক্যাম্পেইন প্রমাণ করেছে যে তরুণরাই ডিজিটাল নিরাপত্তার পরিবর্তন আনতে নেতৃত্ব দিতে পারে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা বাংলাদেশের তরুণদের জন্য একটি নিরাপদ ইন্টারনেট গড়ে তুলতে কাজ করছি।”
‘সাবধানে অনলাইনে’ ক্যাম্পেইন তরুণদের অনলাইন নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সচেতনতা বৃদ্ধিতে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। এই উদ্যোগ কেবল বর্তমান প্রজন্মের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিবেশ গড়ে তুলছে।