বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম, লাগবে না জামানত
ভাবছেন বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়া যায় নাকি? হ্যাঁ, এখন উপায় আছে! ডিজিটাল যুগে সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়। আগে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ঋণের জন্য আবেদন করা লাগত, কিন্তু এখন বিকাশ-এর কল্যাণে সেই ঝামেলা অনেকটাই কমে গেছে।
তাহলে চলুন, জেনে নিই বিকাশ দিয়ে কিভাবে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়া যেতে পারে, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত খুঁটিনাটি।

বিকাশ দিয়ে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম
বিকাশ এখন শুধু টাকা লেনদেনের মাধ্যম নয়, এটি একটি স্মার্ট ফিনান্সিয়াল সলিউশন। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে বিকাশ এখন ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। এই ঋণের পরিমাণ সাধারণত ৫শ’ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে, কিভাবে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাবেন, সেই নিয়মগুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলো:
ঋণের যোগ্যতা (Eligibility)
বিকাশ থেকে ঋণ পেতে হলে কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়। যোগ্যতাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- বিকাশ একাউন্ট: আপনার একটি সচল বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। একাউন্টটি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) দিয়ে রেজিস্টার করা থাকতে হবে।
- লেনদেনের ইতিহাস: বিকাশ একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন থাকতে হবে। আপনার লেনদেনের পরিমাণ এবং ফ্রিকোয়েন্সির উপর ভিত্তি করে ঋণের যোগ্যতা বিবেচনা করা হয়।
- বয়স: আপনার বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র: আপনার একটি ভ্যালিড জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- অন্যান্য শর্ত: বিকাশ এবং পার্টনার ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কিছু শর্ত থাকতে পারে, যা ঋণ দেওয়ার আগে বিবেচনা করা হয়।
ঋণের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
বিকাশ থেকে ঋণের জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। নিচে প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে দেওয়া হলো:
১. বিকাশ অ্যাপ ডাউনলোড এবং লগইন
প্রথমত, আপনার স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। যদি আগে থেকেই ডাউনলোড করা থাকে, তাহলে লেটেস্ট ভার্সনটি ব্যবহার করুন। এরপর আপনার বিকাশ একাউন্ট নম্বর এবং পিন দিয়ে লগইন করুন।
২. ঋণের অপশনটি খুঁজুন
বিকাশ অ্যাপের হোমপেজে বিভিন্ন অপশন থাকে। সেখান থেকে “লোন” অথবা “ঋণ” অপশনটি খুঁজে বের করুন। অনেক সময় এটি “অফার” সেকশনেও থাকতে পারে।
৩. ঋণের জন্য আবেদন করুন
“লোন” অপশনে ক্লিক করার পর, আপনি ঋণের জন্য আবেদন করার একটি ফর্ম দেখতে পাবেন। এই ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন – নাম, ঠিকানা, পেশা, মাসিক আয় ইত্যাদি তথ্য দিতে হতে পারে।
৪. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড
ফর্মটি পূরণ করার পর, আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হতে পারে। সাধারণত, জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্টস চাওয়া হতে পারে।
৫. আবেদন জমা দিন
সব তথ্য এবং ডকুমেন্টস আপলোড করার পর, আবেদনটি সাবমিট করুন। আপনার আবেদনটি রিভিউ করার জন্য বিকাশ এবং তাদের পার্টনার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হবে।
৬. যাচাই-বাছাই এবং অনুমোদন
আপনার আবেদনটি পাওয়ার পর, বিকাশ এবং তাদের পার্টনার প্রতিষ্ঠান আপনার দেওয়া তথ্য যাচাই করবে। আপনার লেনদেনের ইতিহাস, ক্রেডিট স্কোর এবং অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে তারা ঋণের অনুমোদন দেবে।
৭. ঋণ গ্রহণ
যদি আপনার আবেদনটি সফল হয়, তাহলে আপনি বিকাশ একাউন্টে ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন। বিকাশ আপনাকে এসএমএস-এর মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেবে।
ঋণের শর্তাবলী ও নিয়মাবলী
ঋণ নেওয়ার আগে কিছু জরুরি শর্তাবলী ও নিয়মাবলী জেনে নেওয়া ভালো। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা হলো:
- সুদের হার: ঋণের সুদের হার সাধারণত ব্যাংক ঋণের চেয়ে বেশি হয়ে থাকে। ঋণের আবেদন করার সময় সুদের হার সম্পর্কে জেনে নিন।
- পরিশোধের সময়সীমা: ঋণ পরিশোধের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে আপনাকে ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
- পরিশোধের পদ্ধতি: বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমেই আপনি কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে আপনার একাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে।
- দেরিতে পরিশোধের জরিমানা: যদি আপনি সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন, তাহলে আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে।
- অন্যান্য নিয়ম: বিকাশ এবং পার্টনার প্রতিষ্ঠানের আরও কিছু নিয়ম থাকতে পারে, যা ঋণ নেওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত।
কিভাবে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো যায়?
যদি আপনি প্রথমবারের মতো বিকাশ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন, তাহলে সাধারণত ঋণের পরিমাণ কম থাকে। তবে, নিয়মিত সঠিকভাবে কিস্তি পরিশোধ করার মাধ্যমে আপনি পরবর্তী সময়ে ঋণের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন। এছাড়া, আপনার বিকাশ একাউন্টের লেনদেন বাড়ালে এবং ভালো ক্রেডিট হিস্টরি থাকলে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
বিকাশ ঋণের সুবিধা ও অসুবিধা
যেকোনো সেবারই কিছু সুবিধা ও অসুবিধা থাকে। বিকাশ ঋণের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। নিচে এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা তুলে ধরা হলো:
সুবিধা
- সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: ঘরে বসেই অনলাইনে আবেদন করা যায়।
- দ্রুত অনুমোদন: অন্যান্য ঋণের তুলনায় দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যায়।
- সহজে পরিশোধ: বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই কিস্তি পরিশোধ করা যায়।
- কম কাগজপত্র: খুব বেশি কাগজপত্র জমা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- যেকোনো সময় সুবিধা: যেকোনো সময় ঋণের জন্য আবেদন করা যায়।
অসুবিধা
- উচ্চ সুদের হার: সুদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি।
- কম ঋণের পরিমাণ: প্রথমবার ঋণের পরিমাণ কম থাকে।
- জরিমানা: সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা দিতে হয়।
- সবাই পায় না : ঋণের জন্য কিছু যোগ্যতা লাগে, যা সবার নাও থাকতে পারে।
বিকাশ থেকে ঋণ পাওয়ার কিছু টিপস ও ট্রিকস
বিকাশ থেকে সহজে ঋণ পেতে কিছু টিপস ও ট্রিকস অনুসরণ করতে পারেন। এতে আপনার ঋণের আবেদন দ্রুত অনুমোদন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
টিপস #১: নিয়মিত লেনদেন করুন
বিকাশ একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন করুন। বেশি পরিমাণে লেনদেন করলে আপনার ক্রেডিট স্কোর বাড়বে, যা ঋণের জন্য জরুরি।
টিপস #২: সঠিক তথ্য দিন
আবেদনের সময় সব তথ্য সঠিকভাবে দিন। কোনো ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।
টিপস #৩: দ্রুত কিস্তি পরিশোধ করুন
ঋণের কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করুন। এতে আপনার ভালো ক্রেডিট হিস্টরি তৈরি হবে এবং ভবিষ্যতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
টিপস #৪: অফারগুলোর দিকে নজর রাখুন
বিকাশ বিভিন্ন সময় ঋণের উপর বিশেষ অফার দিয়ে থাকে। এই অফারগুলোর দিকে নজর রাখুন এবং সুযোগ বুঝে আবেদন করুন।
টিপস #৫: কাস্টমার কেয়ারের সাহায্য নিন
যদি আপনার মনে কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে বিকাশের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে জেনে নিন। তারা আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারবে।
বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্টস দরকার?
বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য সাধারণত খুব বেশি ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হয় না। নিচে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো:
ডকুমেন্টস | প্রয়োজনীয়তা |
---|---|
জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) | বাধ্যতামূলক। NID এর স্ক্যান কপি অথবা ছবি আপলোড করতে হতে পারে। |
পাসপোর্ট সাইজের ছবি | ক্ষেত্র বিশেষে লাগতে পারে। |
ব্যাংক স্টেটমেন্ট (Bank Statement) | কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে, বিশেষ করে যদি ঋণের পরিমাণ বেশি হয়। |
আয়ের প্রমাণপত্র (Income Proof) | চাকরিজীবীদের জন্য স্যালারি স্লিপ (Salary Slip) এবং ব্যবসায়ীদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স (Trade License) প্রয়োজন হতে পারে। |
অন্যান্য ডকুমেন্টস | বিকাশ বা পার্টনার ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত কোনো ডকুমেন্টস চাইতে পারে। |
বিকাশ লোন পাওয়ার অসুবিধা গুলো কি কি?
বিকাশ লোন পাওয়ার কিছু অসুবিধা রয়েছে, যা আপনার জানা উচিত। নিচে কয়েকটি প্রধান অসুবিধা উল্লেখ করা হলো:
- উচ্চ সুদহার (High Interest Rate): বিকাশের ঋণের সুদহার অন্যান্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে।
- ঋণের পরিমাণ কম (Low Loan Amount): প্রথমবার ঋণ নিলে সাধারণত ঋণের পরিমাণ কম থাকে।
- সময়সীমা কম (Short Repayment Period): ঋণ পরিশোধের জন্য তুলনামূলকভাবে কম সময় পাওয়া যায়।
- জরিমানা (Penalty Fees): সময়মতো কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে জরিমানা দিতে হয়।
- সবাই পায় না (Limited Availability): ঋণের যোগ্যতা সবার না থাকায়, সবাই এই সুবিধা পায় না।
বিকাশ লোন পাওয়ার যোগ্যতা কি কি?
বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়। এই যোগ্যতাগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
- বিকাশ একাউন্ট (bKash Account): একটি সচল বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
- বয়স (Age): ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID): একটি ভ্যালিড জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে।
- লেনদেনের ইতিহাস (Transaction History): বিকাশ একাউন্টে নিয়মিত লেনদেন থাকতে হবে।
- ক্রেডিট স্কোর (Credit Score): ভালো ক্রেডিট স্কোর থাকতে হবে।
বিকাশ লোন নিতে কি সিভিল স্কোর লাগে?
বিকাশ থেকে লোন নিতে সিভিল স্কোর (Credit Score) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও বিকাশ সরাসরি সিভিল স্কোর উল্লেখ করে না, তবে আপনার লেনদেনের ইতিহাস এবং আর্থিক কার্যক্রমের ওপর ভিত্তি করে একটি স্কোর তৈরি করা হয়। যদি আপনার লেনদেন ভালো থাকে এবং নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের অভ্যাস থাকে, তবে আপনার স্কোর ভালো হবে।
অন্যদিকে, যদি আপনার ঋণ খেলাপি হওয়ার ইতিহাস থাকে বা আগে কোনো ঋণ পরিশোধ না করে থাকেন, তবে আপনার স্কোর খারাপ হতে পারে। খারাপ স্কোর থাকলে বিকাশ থেকে লোন পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। তাই, লোন পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে নিয়মিত লেনদেন করা এবং সঠিক সময়ে কিস্তি পরিশোধ করা জরুরি।
বিকাশ লোন নিতে কি কি শর্ত লাগে?
বিকাশ থেকে লোন নিতে কিছু সাধারণ শর্তাবলী পূরণ করতে হয়। নিচে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত উল্লেখ করা হলো:
- সচল একাউন্ট: আপনার বিকাশ একাউন্টটি সচল থাকতে হবে এবং নিয়মিত লেনদেন করতে হবে।
- কেওয়াইসি (KYC) সম্পন্ন: আপনার বিকাশ একাউন্টের কেওয়াইসি (Know Your Customer) তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করা থাকতে হবে।
- বয়স: লোন নেওয়ার জন্য আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
- নাগরিকত্ব: আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- লেনদেনের ইতিহাস: আপনার বিকাশ একাউন্টে নিয়মিত লেনদেনের একটি ভালো ইতিহাস থাকতে হবে।
বিকাশ লোন পরিশোধ করার নিয়ম কি?
বিকাশ লোন পরিশোধ করা খুবই সহজ। আপনি কয়েকটি উপায়ে আপনার ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন:
- বিকাশ অ্যাপ: বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সহজেই কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। অ্যাপে “লোন” অপশনে গিয়ে “পরিশোধ করুন” অপশনটি সিলেক্ট করে আপনার কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন।
- অটো ডেবিট: আপনি অটো ডেবিট অপশন চালু করতে পারেন। এতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট তারিখে আপনার একাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিস্তির টাকা কেটে নেওয়া হবে।
- ম্যানুয়াল পরিশোধ: আপনি চাইলে ম্যানুয়ালিও কিস্তি পরিশোধ করতে পারেন। বিকাশ অ্যাপে গিয়ে লোন অপশন থেকে কিস্তি পরিশোধের তারিখ সিলেক্ট করে পেমেন্ট সম্পন্ন করতে পারেন।
বিকাশ থেকে কত টাকা লোন নেওয়া যায়?
বিকাশ থেকে সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন নেওয়া যায়। তবে, ঋণের পরিমাণ আপনার লেনদেনের ইতিহাস এবং ক্রেডিট স্কোর-এর ওপর নির্ভর করে। প্রথমবার ঋণ নিলে সাধারণত কম টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলে ঋণের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয়?
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য আবেদন করা খুবই সহজ। নিচে ধাপগুলো উল্লেখ করা হলো:
- বিকাশ অ্যাপ খুলুন: প্রথমে আপনার স্মার্টফোনে বিকাশ অ্যাপটি খুলুন এবং আপনার পিন নম্বর দিয়ে লগইন করুন।
- লোন অপশন খুঁজুন: হোমপেজে “লোন” অথবা “ঋণ” অপশনটি খুঁজুন এবং সেটিতে ক্লিক করুন।
- আবেদন ফর্ম পূরণ করুন: লোন অপশনে ক্লিক করার পর একটি আবেদন ফর্ম আসবে। ফর্মে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন – নাম, ঠিকানা, পেশা, মাসিক আয় ইত্যাদি সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- ডকুমেন্টস আপলোড করুন: কিছু ক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি বা ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করতে হতে পারে।
- আবেদন জমা দিন: সব তথ্য পূরণ করার পর আবেদনটি সাবমিট করুন।
- যাচাই-বাছাই: আপনার আবেদনটি বিকাশ কর্তৃপক্ষ যাচাই করবে।
- অনুমোদন ও ঋণ গ্রহণ: যদি আপনার আবেদন সফল হয়, তবে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে ঋণের টাকা পেয়ে যাবেন।
বিকাশ লোন সংক্রান্ত কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (FAQ)
প্রশ্ন ১: বিকাশ থেকে লোন পেতে কত দিন লাগে?
উত্তর: বিকাশে লোনের আবেদন করার পর সাধারণত ১ থেকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে লোন পাওয়া যায়। তবে, এটি আপনার প্রোফাইলের ওপর নির্ভর করে কম-বেশি হতে পারে।
প্রশ্ন ২: বিকাশে লোনের সুদ কত?
উত্তর: বিকাশে লোনের সুদ সাধারণত ১৩% থেকে ১৫% পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে, সুদের হার ঋণের পরিমাণ এবং আপনার ক্রেডিট প্রোফাইলের ওপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন ৩: আমি কিভাবে জানব যে আমি লোনের জন্য যোগ্য?
উত্তর: আপনি বিকাশ অ্যাপে লোন সেকশনে গিয়ে আপনার যোগ্যতা যাচাই করতে পারবেন। সেখানে আপনার তথ্য দেওয়ার পর আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে যে আপনি লোনের জন্য যোগ্য কিনা।
প্রশ্ন ৪: লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে দেরি হলে কি হবে?
উত্তর: লোনের কিস্তি পরিশোধ করতে দেরি হলে আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে। এছাড়া, আপনার ক্রেডিট স্কোর কমে যেতে পারে, যা ভবিষ্যতে লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রশ্ন ৫: বিকাশ লোন কিস্তি কয়টি?
উত্তর: বিকাশে লোনের কিস্তি সাধারণত ৩ থেকে ১২ মাসের মধ্যে হয়ে থাকে। ঋণের পরিমাণ ও শর্তাবলীর ওপর নির্ভর করে কিস্তির সংখ্যা নির্ধারিত হয়।
প্রশ্ন ৬: বিকাশ থেকে কত টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়?
উত্তর: বিকাশ থেকে সাধারণত ৫০০ টাকা থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়।
প্রশ্ন ৭: বিকাশ থেকে লোন নিতে কি কি ডকুমেন্টস লাগে?
উত্তর: বিকাশ থেকে লোন নিতে সাধারণত জাতীয় পরিচয় পত্র (NID), পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ক্ষেত্র বিশেষে ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও আয়ের প্রমাণপত্র লাগতে পারে।
বিকাশ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়ার নিয়ম এখন আপনার হাতের মুঠোয়। শুধু প্রয়োজন সঠিক তথ্য এবং একটি সচল বিকাশ একাউন্ট। তাই আর দেরি না করে, আজই চেষ্টা করুন এবং নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ঋণ নিয়ে জীবনকে আরও সহজ করুন। যদি আপনার কোনও প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।