বিসিএস-এর নতুন কমিটি : নেতৃত্বে জহিরুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)-এর ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এবার সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন স্মার্ট টেকনোলজিস (বিডি) লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কম্পিউটার সিটি টেকনোলজিস লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
নতুন এই কমিটি গঠনের মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তি ব্যবসায় নতুন নেতৃত্বের সূচনা হলো। যারা বিসিএস-এর পূর্ববর্তী কার্যক্রম ও অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, সংগঠনকে আরও দক্ষ ও গতিশীল করে তুলবে বলে প্রত্যাশা করছেন সদস্যরা।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাত পরিচালক
গত ২১ জুন শনিবার, বিসিএস নির্বাচন বোর্ড ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সাতজন পরিচালক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। নির্বাচিত পরিচালকরা হলেন:
- মো. ওয়াহিদুল হাসান দিপু (ল্যান্ডমার্ক কম্পিউটার্স)
- মো. আহসানুল ইসলাম (পিসি গার্ডেন)
- আবুল হাসান (এইচ এম কম্পিউটারর্স)
- মো. নজরুল ইসলাম হাজারী (ওয়েলকিন কম্পিউটার্স)
- মো. ইকবাল হোসাইন (জ্যাজি)
- মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
- মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম
পরবর্তীদিন ২২ জুন, পদবণ্টনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন পরিচালকগণ। যেহেতু প্রতিটি পদে একমাত্র প্রার্থী ছিল, তাই কোনো ভোটগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচন বোর্ড চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করে ২৩ জুন।
নির্বাচনী দায়িত্বে সরকারি প্রতিনিধি
এই নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ নির্বাচন বোর্ড।
- বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন উপসচিব শরীফ রায়হান কবির
- সদস্য ছিলেন উপসচিব সন্দ্বীপ কুমার সরকার এবং উপ-নিয়ন্ত্রক মো. সিরাজুল ইসলাম
এছাড়াও, সমিতির প্রশাসক হিসেবে যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি শিগগিরই নবনির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন।
আশাবাদী বিসিএস সদস্যরা
বিসিএস-এর সদস্যরা বলছেন, দেশের প্রযুক্তি খাতের এই উত্তরণের সময় নতুন নেতৃত্ব অনেক দায়িত্ব নিয়ে যাত্রা শুরু করছে। নীতিনির্ধারণ, বাজারে স্বচ্ছতা আনা, নীতিমালা প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের আইটি ব্যবসাকে তুলে ধরায় নবনির্বাচিত কমিটির ভূমিকা হবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিসিএস-এর নতুন কমিটি কেবল একটি সাংগঠনিক পরিবর্তন নয়, বরং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যতের একটি সম্ভাবনাময় অধ্যায়ও। নেতৃত্বের এই পরিবর্তনে প্রযুক্তি ব্যবসার গতিপথ আরও গতিশীল হবে বলেই প্রত্যাশা করা যায়।