আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস : সাফল্যের গোপন সূত্র
আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস : সাফল্যের গোপন সূত্র। জীবনে চলার পথে আপনার কি কখনও মনে হয়েছে যে, নিজেকে যেন একটু পিছিয়ে রাখছেন? হয়তো বন্ধুদের আড্ডায় নিজের মতামতটা ঠিকমতো দিতে পারছেন না, বা নতুন কোনো কাজ শুরু করতে দ্বিধা করছেন? যদি এমনটা হয়ে থাকে, তাহলে সম্ভবত আপনার আত্মসম্মান বা আত্মচেতনার স্ট্যাটাস (Self-Esteem or Self-Awareness Status) নিয়ে একটু ভাবার সময় এসেছে। আত্মসম্মান শুধু একটা শব্দ নয়, এটা আপনার ভেতরের শক্তি, আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাস যত মজবুত হবে, আপনার জীবন তত সুন্দর ও সফল হবে।
আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস
আত্মসম্মানের শক্তি
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে পৃথিবীর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শেখায়।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, কারণ তা তোমার সবচেয়ে বড় সম্পদ।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আলো, যা অন্ধকারেও তোমার পথ দেখায়।
-
যে নিজেকে সম্মান করে, তাকে পৃথিবীও সম্মান করে।
-
আত্মসম্মান হলো সেই ঢাল, যা তোমাকে সব অপমান থেকে রক্ষা করে।
-
নিজের মূল্য বোঝো, কারণ তুমি একটি অমূল্য রত্ন।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আগুন, যা তোমার ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।
-
কারো কাছে নিজেকে ছোট করো না, তোমার আত্মমর্যাদা তোমার পরিচয়।
-
আত্মসম্মান হলো সেই সেতু, যা তোমাকে স্বপ্নের কাছে নিয়ে যায়।
-
নিজেকে ভালোবাসো, কারণ আত্মসম্মানের শুরু নিজেকে গ্রহণ করা।
-
আত্মসম্মান হলো সেই চাবি, যা তোমার সব সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়।
-
যে নিজের মর্যাদা বোঝে, সে কখনো অন্যের অপমান সহ্য করে না।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে হারতে দেয় না।
-
নিজের মূল্য কখনো ভুলে যেও না, তুমি একটি অপরাজেয় যোদ্ধা।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আয়না, যেখানে তুমি নিজের আসল রূপ দেখতে পাও।
-
কারো দয়ার উপর নির্ভর করো না, তোমার আত্মসম্মানই তোমার শক্তি।
-
আত্মসম্মান হলো সেই পথ, যা তোমাকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যায়।
-
নিজেকে সম্মান করো, কারণ তুমি একটি অসাধারণ সৃষ্টি।
-
আত্মসম্মান হলো সেই ডানা, যা তোমাকে আকাশে উড়তে শেখায়।
-
যে নিজের মর্যাদা রক্ষা করে, সে জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে জয়ী হয়।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আগুন, যা তোমার ভেতরের ভয়কে পুড়িয়ে দেয়।
-
নিজের মূল্য কখনো কমিও না, তুমি একটি অমূল্য সম্পদ।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে পৃথিবীর সামনে অটুট রাখে।
-
কারো কাছে মাথা নত করো না, তোমার আত্মমর্যাদা তোমার গর্ব।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আলো, যা তোমার জীবনকে উজ্জ্বল করে।
-
নিজেকে ছোট ভাবো না, তুমি একটি অসীম সম্ভাবনার ধারক।
-
আত্মসম্মান হলো সেই যাত্রা, যা তোমাকে নিজের কাছে নিয়ে যায়।
-
যে নিজেকে সম্মান করে, তার জন্য পৃথিবী নতুন দরজা খুলে দেয়।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে প্রতিটি ঝড়ে টিকিয়ে রাখে।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, কারণ তা তোমার জীবনের ভিত্তি।
প্রার্থনা নিয়ে উক্তি, বাণী, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন
আত্মমর্যাদা ও জীবন
-
আত্মমর্যাদা ছাড়া জীবন একটি অর্থহীন যাত্রা।
-
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে আত্মসম্মানকে সঙ্গী করো।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই আলো, যা কখনো নিভে না।
-
জীবন যতই কঠিন হোক, আত্মসম্মান কখনো হারিও না।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই শক্তি, যা তোমাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
-
জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো নিজের মর্যাদা রক্ষা করা।
-
আত্মসম্মান হলো জীবনের সেই সঙ্গী, যে কখনো ছেড়ে যায় না।
-
জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে আত্মমর্যাদাই তোমার সবচেয়ে বড় অস্ত্র।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই পথ, যা তোমাকে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যায়।
-
জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো তোমার আত্মসম্মান।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই আয়না, যেখানে তুমি নিজেকে দেখতে পাও।
-
জীবন যখন তোমাকে পরীক্ষা করে, আত্মসম্মান দিয়ে উত্তর দাও।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই শক্তি, যা তোমাকে অটুট রাখে।
-
জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে নিজের মর্যাদা রক্ষা করো।
-
আত্মসম্মান হলো জীবনের সেই আলো, যা তোমাকে পথ দেখায়।
-
জীবনের সবচেয়ে বড় জয় হলো নিজের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই ঢাল, যা তোমাকে সব আঘাত থেকে রক্ষা করে।
-
জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জে আত্মসম্মানই তোমার শক্তি।
-
আত্মমর্যাদা হলো জীবনের সেই চাবি, যা সব দরজা খুলে দেয়।
-
জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তোমার আত্মসম্মান।
সম্পর্কের স্ট্যাটাস ও উক্তি : সম্পর্ক নিয়ে ১০০+ স্ট্যাটাস
আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস
-
আত্মসম্মান হলো আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি, যা তোমাকে অপরাজেয় করে।
-
নিজের উপর বিশ্বাস করো, কারণ আত্মসম্মানই তোমার শক্তির উৎস।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই আলো, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে জ্বালিয়ে রাখে।
-
যে নিজেকে সম্মান করে, তার আত্মবিশ্বাস কখনো ডগমগায় না।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে অটুট রাখে।
-
নিজের মূল্য বোঝো, তাহলেই তোমার আত্মবিশ্বাস আকাশ ছুঁবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই ডানা, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে উড়তে শেখায়।
-
আত্মবিশ্বাসের শুরু হলো নিজের মর্যাদাকে সম্মান করা।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আগুন, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে জ্বালিয়ে রাখে।
-
নিজেকে সম্মান করো, তাহলেই তোমার আত্মবিশ্বাস পৃথিবী জয় করবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই আয়না, যেখানে তুমি তোমার আত্মবিশ্বাস দেখতে পাও।
-
আত্মবিশ্বাস হলো আত্মসম্মানের ফল, যা তুমি নিজের জন্য রোপণ করো।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে অপরাজেয় করে।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, তাহলেই তোমার আত্মবিশ্বাস অটুট থাকবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই পথ, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে গন্তব্যে নিয়ে যায়।
-
আত্মবিশ্বাসের শক্তি আসে আত্মসম্মানের গভীরতা থেকে।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আলো, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে উজ্জ্বল করে।
-
নিজেকে সম্মান করো, তাহলেই তোমার আত্মবিশ্বাস পৃথিবীকে জয় করবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই শক্তি, যা তোমার আত্মবিশ্বাসকে অটুট রাখে।
-
আত্মবিশ্বাস হলো আত্মসম্মানের প্রতিফলন, যা তুমি নিজের জন্য তৈরি করো।
আত্মমর্যাদা ও সম্পর্ক
-
আত্মসম্মান ছাড়া কোনো সম্পর্ক সুস্থ হতে পারে না।
-
যে সম্পর্ক তোমার আত্মমর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, তা ছেড়ে দাও।
-
আত্মসম্মান হলো সেই সীমানা, যা তোমার সম্পর্ককে সুস্থ রাখে।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, তাহলেই সত্যিকারের সম্পর্ক তৈরি হবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই আলো, যা তোমার সম্পর্ককে সঠিক পথে রাখে।
-
কারো কাছে নিজেকে ছোট করো না, সত্যিকারের সম্পর্ক আত্মসম্মানের উপর গড়ে ওঠে।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমার সম্পর্ককে মজবুত করে।
-
যে সম্পর্কে তোমার আত্মমর্যাদা নেই, তা কখনো পূর্ণতা পায় না।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আয়না, যেখানে তুমি তোমার সম্পর্কের মূল্য দেখতে পাও।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, তাহলেই তোমার সম্পর্ক সুন্দর হবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই সেতু, যা তোমার সম্পর্ককে শক্তিশালী করে।
-
যে সম্পর্ক তোমার আত্মসম্মানকে সম্মান করে না, তা ত্যাগ করো।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমার সম্পর্ককে অটুট রাখে।
-
নিজেকে সম্মান করো, তাহলেই অন্যরাও তোমাকে সম্মান করবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই আলো, যা তোমার সম্পর্ককে উজ্জ্বল করে।
-
যে সম্পর্কে তোমার আত্মসম্মান নিরাপদ নয়, তা ছেড়ে দাও।
-
আত্মসম্মান হলো সেই পথ, যা তোমার সম্পর্ককে সঠিক গন্তব্যে নিয়ে যায়।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, তাহলেই তোমার সম্পর্ক মজবুত হবে।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই শক্তি, যা তোমার সম্পর্ককে সুস্থ রাখে।
-
যে সম্পর্ক তোমার আত্মসম্মানকে মূল্য দেয়, তাই সত্যিকারের সম্পর্ক।
আত্মসম্মান ও সাফল্য
-
আত্মসম্মান হলো সেই ভিত্তি, যার উপর সাফল্যের প্রাসাদ গড়ে ওঠে।
-
নিজের মর্যাদা রক্ষা করো, তাহলেই সাফল্য তোমার পায়ে এসে ধরা দেবে।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যায়।
-
যে নিজেকে সম্মান করে, তার জন্য সাফল্য শুধু সময়ের ব্যাপার।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই আলো, যা তোমার সাফল্যের পথ দেখায়।
-
নিজের মূল্য বোঝো, তাহলেই তুমি সাফল্যের শিখরে পৌঁছাবে।
-
আত্মসম্মান হলো সেই ডানা, যা তোমাকে সাফল্যের আকাশে উড়তে শেখায়।
-
সাফল্য তখনই আসে, যখন তুমি নিজের মর্যাদাকে সম্মান করো।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
-
নিজেকে সম্মান করো, তাহলেই সাফল্য তোমার পিছু ছাড়বে না।
-
আত্মসম্মান হলো সেই আগুন, যা তোমার সাফল্যকে জ্বালিয়ে রাখে।
-
যে নিজের মর্যাদা রক্ষা করে, তার জন্য সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।
-
আত্মমর্যাদা হলো সেই পথ, যা তোমাকে সাফল্যের গন্তব্যে নিয়ে যায়।
-
নিজের মূল্য কখনো ভুলে যেও না, তুমি সাফল্যের যোগ্য।
-
আত্মসম্মান হলো সেই শক্তি, যা তোমাকে সাফল্যের শীর্ষে তুলে দেয়।

আত্মসম্মান কী এবং কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?
সহজ কথায়, আত্মসম্মান হলো নিজের মূল্য সম্পর্কে আপনার অনুভূতি। আপনি নিজেকে কতটা যোগ্য মনে করেন, আপনার ক্ষমতা সম্পর্কে আপনার ধারণা কী — এই সবকিছু মিলিয়েই তৈরি হয় আপনার আত্মসম্মান। এটা কেবল নিজের সম্পর্কে ভালো বোধ করা নয়, বরং নিজের ভুলত্রুটিগুলো মেনে নিয়ে নিজেকে ভালোবাসা।
আত্মসম্মান কেন জীবনের ভিত্তি?
ভাবুন তো, একটা গাছকে যদি সঠিক যত্ন না দেওয়া হয়, তাহলে কি সেটা ভালোভাবে বেড়ে উঠবে? কখনোই না। ঠিক তেমনি, আপনার আত্মসম্মান যদি দুর্বল হয়, তাহলে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনি পিছিয়ে পড়তে পারেন।
- সিদ্ধান্ত গ্রহণ: আত্মসম্মান থাকলে আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। অন্যের মতামতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হবেন না।
- সম্পর্ক: সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আত্মসম্মান অপরিহার্য। নিজেকে মূল্য দিলে তবেই অন্যের কাছে আপনার মূল্য তৈরি হবে।
- কর্মজীবন: কর্মক্ষেত্রে সাফল্য পেতে আত্মবিশ্বাস খুব জরুরি। আত্মসম্মান আপনাকে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে এবং নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে সাহায্য করবে।
- মানসিক স্বাস্থ্য: আত্মসম্মান মানসিক চাপ, হতাশা এবং উদ্বেগের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী ঢাল হিসেবে কাজ করে।
আত্মসম্মানের লক্ষণ: আপনি কি ভালো আছেন?
আপনার আত্মসম্মান কেমন, তা কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা যায়। নিচে একটি ছোট তালিকা দেওয়া হলো, যা আপনাকে নিজেকে বুঝতে সাহায্য করবে।
উচ্চ আত্মসম্মানের লক্ষণ | নিম্ন আত্মসম্মানের লক্ষণ |
---|---|
নিজের যোগ্যতা সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা | নিজের ক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ |
নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে আগ্রহী | পরিবর্তনের ভয়, ঝুঁকি নিতে অনীহা |
নিজের ভুল থেকে শিখতে পারা | ভুল করলে নিজেকে অতিরিক্ত দোষারোপ করা |
নিজের মতামত প্রকাশে স্বচ্ছন্দ | অন্যের মতামতের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা |
অন্যের প্রশংসা গ্রহণ করতে পারা | প্রশংসা গ্রহণ করতে অস্বস্তি বোধ করা |
নিজের যত্ন নেওয়া ও সীমানা নির্ধারণ | নিজের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করা |
এই তালিকাটি আপনাকে নিজের অবস্থা বুঝতে সাহায্য করবে। যদি দেখেন যে নিম্ন আত্মসম্মানের লক্ষণগুলো আপনার মধ্যে বেশি, তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। এগুলো পরিবর্তন করা সম্ভব।
কীভাবে নিজের আত্মসম্মান বাড়াবেন?
আত্মসম্মান রাতারাতি তৈরি হয় না, এটা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে কিছু সহজ উপায় অনুশীলন করে আপনি ধীরে ধীরে আপনার আত্মসম্মান বাড়াতে পারবেন।
১. নিজেকে জানুন: আত্মচেতনার গুরুত্ব
প্রথমেই নিজেকে জানাটা খুব জরুরি। আপনার শক্তি কী, দুর্বলতা কী, কী করতে ভালোবাসেন, কী অপছন্দ করেন – এই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।
- জার্নালিং: প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট নিজের অনুভূতি, চিন্তা এবং দিনের অভিজ্ঞতা লিখে রাখুন। এতে আপনি নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন।
- নিজের শক্তিগুলো চিহ্নিত করুন: একটি তালিকা তৈরি করুন যেখানে আপনার ১০টি সেরা গুণ বা দক্ষতা উল্লেখ করা থাকবে। মাঝে মাঝে এই তালিকাটি দেখুন এবং নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে আপনি কতটা সক্ষম।
২. ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
বড় লক্ষ্য অর্জনে সময় লাগে, আর সেই সময়ে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। তার চেয়ে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন যা অর্জন করা সহজ।
- প্রতিদিন একটি কাজ: এমন একটি কাজ বেছে নিন যা আপনি এতদিন করতে ভয় পাচ্ছিলেন, যেমন – একটি নতুন রেসিপি চেষ্টা করা, বা প্রতিবেশী কারো সাথে কথা বলা। কাজটি সফল হলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
- সাফল্য উদযাপন করুন: যেকোনো ছোট অর্জনকেও প্রশংসা করুন। নিজের পিঠ চাপড়ে দিন! এতে আপনার মস্তিষ্ক ইতিবাচকভাবে সাড়া দেবে।
৩. নিজের যত্ন নিন
আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য আপনার আত্মসম্মানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
- নিয়মিত ব্যায়াম: শারীরিক কার্যকলাপ মনকে সুস্থ রাখে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
- পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুমের অভাবে মেজাজ খিটখিটে হয় এবং মন অস্থির থাকে।
- স্বাস্থ্যকর খাবার: পুষ্টিকর খাবার আপনার শরীর ও মনকে সতেজ রাখে।
- নিজেকে সময় দিন: পছন্দের কাজ করুন, যেমন – বই পড়া, গান শোনা বা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া।
৪. নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকুন
আমরা প্রায়ই নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলি, যা আমাদের আত্মসম্মানকে কমিয়ে দেয়।
- “আমি পারি না” থেকে “আমি চেষ্টা করব”: আপনার ভেতরের সমালোচককে থামান। নেতিবাচক বাক্যগুলোকে ইতিবাচক বাক্যে পরিবর্তন করুন।
- তুলনা বন্ধ করুন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যের সাথে নিজের তুলনা করা বন্ধ করুন। মনে রাখবেন, সবাই নিজের সেরা অংশটাই দেখায়। আপনার জীবন আপনার মতো, অন্যেরটা অন্যের মতো।
৫. না বলতে শিখুন
অন্যকে খুশি করার জন্য সব সময় হ্যাঁ বললে আপনি নিজের প্রয়োজনকে উপেক্ষা করেন।
- নিজের সীমানা নির্ধারণ করুন: কোথায় আপনার পক্ষে কোনো কাজ করা সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট করে বলুন। এতে আপনার নিজের প্রতি সম্মান বাড়বে।
- নিজের সময়কে মূল্য দিন: আপনার সময় মূল্যবান। অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট না করে নিজের জন্য সময় বের করুন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আত্মসম্মান
আমাদের সমাজে অনেক সময় অন্যের মতামতকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। “মানুষ কী বলবে” এই ভয় আমাদের অনেককেই নিজেদের স্বপ্ন পূরণে বাধা দেয়। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনার জীবন আপনার। অন্যের কথায় আপনার আত্মবিশ্বাস যেন কমে না যায়। বরং নিজেদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে, নিজের স্বকীয়তাকে ধরে রেখে আত্মবিশ্বাসের সাথে এগিয়ে যাওয়াটাই হলো আসল আত্মসম্মান।
শেষ কথা
আত্মসম্মান বা আত্মচেতনা কোনো জাদুকরী বিষয় নয়, এটা আপনার ভেতরের একটা শক্তি যা সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বৃদ্ধি পায়। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন এবং নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনি যেমন, তেমনই অনন্য এবং সুন্দর। আপনার এই যাত্রা হয়তো সহজ হবে না, কিন্তু প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এখন আপনার পালা! আজ থেকেই নিজের আত্মসম্মান বাড়াতে শুরু করুন। আপনি কী ভাবছেন? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন? কমেন্ট করে আমাদের জানান!